Banglay Sandhikshan (বাংলায় সন্ধিক্ষণ)
Itihaaser Dhara, 1920–1987 (ইতিহাসের ধারা, ১৯২০–১৯৪৭)
Price: 650.00 INR
ISBN:
9780199485598
Publication date:
19/01/2018
Paperback
406 pages
Price: 650.00 INR
ISBN:
9780199485598
Publication date:
19/01/2018
Paperback
406 pages
Sabyasachi Bhattacharya (সব্যসাচী ভট্টাচার্য)
এই বইটিতে আধুনিক বাংলার ইতিহাস-সম্পর্কিত কিছু অনালোচিত প্রশ্ন তুলে ধরা হয়েছে। ১৯২০ থেকে ১৯৪৭-এর মধ্যে এই অঞ্চলের অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক এবং সমাজ-সাংস্কৃতিক পরিবেশে যে পরিবর্তন সাধিত হয়েছিল তার দিকে গভীর দৃষ্টি দেওয়া হয়েছে এই বইটিতে।
Rights: World Rights
Sabyasachi Bhattacharya (সব্যসাচী ভট্টাচার্য)
Description
১৯৪৭-এর ঐতিহাসিক সন্ধিক্ষণ এবং তার পূর্ববর্তী কয়েক দশকে বাংলার ভবিষ্যৎ নির্ধারিত হয়—আজকের বাংলাতেও তার ছায়া দেখা যায়। সেই ইতিহাস এই বইটির আলোচ্য বিষয়। এই নাটকের প্রথম অঙ্কে দেখা যায় যে ১৯২০-র দশকে নবজাগরণ ও বঙ্গভঙ্গ বিরোধী যুগ পেরিয়ে নূতন এক বাংলা নির্মীয়মাণ। চিত্তরঞ্জন দাশ ভারতীয় রাজনীতির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের অংশ; নূতন ধরণের ‘বাঙালি পেট্রিয়টিজম’-এর উদয়; শিক্ষার প্রসারণের সঙ্গে নূতন মুসলিম মধ্যবিত্ত এবং সত্তা চেতনার উদ্ভব; গান্ধীবাদী কংগ্রেস-এর বিকল্প উপস্থিত স্বরাজ্য পার্টি ও বিপ্লবী ও সাম্যবাদী কর্মসূচীতে; কলকাতা তখনও অগ্রগণ্য বাণিজ্যিক কেন্দ্র; এবং রবীন্দ্রনাথের উজ্জ্বল উপস্থিতির সঙ্গে বাংলার বৌদ্ধিক অবদান তখনও অক্ষুণ্ণ। ১৯৪০-এর দশকে ছবিটা আলাদা, বাংলার ক্রমাবনতির পূর্বগামী ছায়া দেখা যায়। ভারতের রাজনীতিতে সুভাষ বসুর পরে বাংলার নেতাদের প্রান্তিক ভূমিকায় অধোগমন; বিশ্বব্যাপী মন্দার পর দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের অভিঘাত, মন্বন্তর, মুদ্রাস্ফীতি, ইত্যাদিতে অর্থনীতি বিপর্যস্ত; সমাজ জীবনে এবং দৈনন্দিন জীবনে সাম্প্রদায়িক বিভাজনের প্রসার জনপরিসরের রাজনীতিতে; হিন্দু সমাজে নানা জনগোষ্ঠীর আত্মীকরণ এবং জাতীয়তাবাদী সমন্বয়বাদ যথেষ্ট প্রভাবশীল না হওয়ায় জাতিভেদ ও সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষভাব নিবারিত হয়নি, বরং বৃদ্ধি পায় যখন হিন্দু ভদ্রলোকবর্গ তাঁদের আধিপত্য বিপন্ন বুঝতে শুরু করে; পুরুষতন্ত্রের বিরুদ্ধে নারী চেতনার উন্মেষ এবং নূতন ‘ভদ্রমহিলার’ আবির্ভাব সত্ত্বেও নারীমুক্তি সুদূর পরাহত। এইসব প্রবণতার কার্যকারণ বিষয়ে আলোচনায় লেখক বলেছেন যে যদিও অধুনা ইতিহাসবিদেরা বাংলার ইতিহাসকে যথেষ্ট সমৃদ্ধ করেছেন, এই বইটির বয়ানের ভিত্তি কেবলমাত্র তৎকালীন তথ্য আকর—অর্থাৎ সরকারি নথিপত্র ও প্রতিবেদন, ব্যক্তিগত চিঠিপত্রের সংগ্রহ, পত্রপত্রিকা, স্মৃতিকথা।
About the Author
সব্যসাচী ভট্টাচার্য, প্রাক্তন উপাচার্য (১৯৯১–৯৫), বিশ্বভারতী, শান্তিনিকেতন, এবং ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ হিস্টোরিকাল রিসার্চ-এর প্রাক্তন সভাপতি (২০০৭–১১)। মূলতঃ কর্মজীবনে ছিলেন নয়া দিল্লির জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর হিস্টোরিকাল স্টাডিজ-এর অধ্যাপক (১৯৭২–২০০২)।
Sabyasachi Bhattacharya (সব্যসাচী ভট্টাচার্য)
Table of contents
প্রাককথন
উপক্রমণিকা
আকর নির্দেশ সংকেত
১. সত্তার পুনর্নির্মাণ : ১৯২০-র দশক
২. নতুন ভদ্রমহিলার উদ্ভাবন
৩. সংযুক্তি এবং বিচ্ছিন্নতা : জাতিগত ও সাম্প্রদায়িক সত্তা
৪. বিভাজনের যুক্তি এবং মুসলিম সত্তা চেতনা
৫. গান্ধীবাদী রাজনীতি এবং তার বিকল্প : ১৯২০-৩৫
৬. বিভেদের রাজনীতি : ১৯৩৬-৪৬
৭. বিপদসংকেত : চল্লিশের দশকের সংকট
৮. আগ্নেয়গিরির মুখে : ১৯৪৬-৪৭
৯. হৃদয়ের বিভাজন : অবিভক্ত বাংলার শেষ দিনগুলি
গ্রন্থ নির্দেশ
বিষয়-সূচী
লেখক পরিচিতি
Sabyasachi Bhattacharya (সব্যসাচী ভট্টাচার্য)
Sabyasachi Bhattacharya (সব্যসাচী ভট্টাচার্য)
Description
১৯৪৭-এর ঐতিহাসিক সন্ধিক্ষণ এবং তার পূর্ববর্তী কয়েক দশকে বাংলার ভবিষ্যৎ নির্ধারিত হয়—আজকের বাংলাতেও তার ছায়া দেখা যায়। সেই ইতিহাস এই বইটির আলোচ্য বিষয়। এই নাটকের প্রথম অঙ্কে দেখা যায় যে ১৯২০-র দশকে নবজাগরণ ও বঙ্গভঙ্গ বিরোধী যুগ পেরিয়ে নূতন এক বাংলা নির্মীয়মাণ। চিত্তরঞ্জন দাশ ভারতীয় রাজনীতির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের অংশ; নূতন ধরণের ‘বাঙালি পেট্রিয়টিজম’-এর উদয়; শিক্ষার প্রসারণের সঙ্গে নূতন মুসলিম মধ্যবিত্ত এবং সত্তা চেতনার উদ্ভব; গান্ধীবাদী কংগ্রেস-এর বিকল্প উপস্থিত স্বরাজ্য পার্টি ও বিপ্লবী ও সাম্যবাদী কর্মসূচীতে; কলকাতা তখনও অগ্রগণ্য বাণিজ্যিক কেন্দ্র; এবং রবীন্দ্রনাথের উজ্জ্বল উপস্থিতির সঙ্গে বাংলার বৌদ্ধিক অবদান তখনও অক্ষুণ্ণ। ১৯৪০-এর দশকে ছবিটা আলাদা, বাংলার ক্রমাবনতির পূর্বগামী ছায়া দেখা যায়। ভারতের রাজনীতিতে সুভাষ বসুর পরে বাংলার নেতাদের প্রান্তিক ভূমিকায় অধোগমন; বিশ্বব্যাপী মন্দার পর দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের অভিঘাত, মন্বন্তর, মুদ্রাস্ফীতি, ইত্যাদিতে অর্থনীতি বিপর্যস্ত; সমাজ জীবনে এবং দৈনন্দিন জীবনে সাম্প্রদায়িক বিভাজনের প্রসার জনপরিসরের রাজনীতিতে; হিন্দু সমাজে নানা জনগোষ্ঠীর আত্মীকরণ এবং জাতীয়তাবাদী সমন্বয়বাদ যথেষ্ট প্রভাবশীল না হওয়ায় জাতিভেদ ও সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষভাব নিবারিত হয়নি, বরং বৃদ্ধি পায় যখন হিন্দু ভদ্রলোকবর্গ তাঁদের আধিপত্য বিপন্ন বুঝতে শুরু করে; পুরুষতন্ত্রের বিরুদ্ধে নারী চেতনার উন্মেষ এবং নূতন ‘ভদ্রমহিলার’ আবির্ভাব সত্ত্বেও নারীমুক্তি সুদূর পরাহত। এইসব প্রবণতার কার্যকারণ বিষয়ে আলোচনায় লেখক বলেছেন যে যদিও অধুনা ইতিহাসবিদেরা বাংলার ইতিহাসকে যথেষ্ট সমৃদ্ধ করেছেন, এই বইটির বয়ানের ভিত্তি কেবলমাত্র তৎকালীন তথ্য আকর—অর্থাৎ সরকারি নথিপত্র ও প্রতিবেদন, ব্যক্তিগত চিঠিপত্রের সংগ্রহ, পত্রপত্রিকা, স্মৃতিকথা।
About the Author
সব্যসাচী ভট্টাচার্য, প্রাক্তন উপাচার্য (১৯৯১–৯৫), বিশ্বভারতী, শান্তিনিকেতন, এবং ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ হিস্টোরিকাল রিসার্চ-এর প্রাক্তন সভাপতি (২০০৭–১১)। মূলতঃ কর্মজীবনে ছিলেন নয়া দিল্লির জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর হিস্টোরিকাল স্টাডিজ-এর অধ্যাপক (১৯৭২–২০০২)।
Table of contents
প্রাককথন
উপক্রমণিকা
আকর নির্দেশ সংকেত
১. সত্তার পুনর্নির্মাণ : ১৯২০-র দশক
২. নতুন ভদ্রমহিলার উদ্ভাবন
৩. সংযুক্তি এবং বিচ্ছিন্নতা : জাতিগত ও সাম্প্রদায়িক সত্তা
৪. বিভাজনের যুক্তি এবং মুসলিম সত্তা চেতনা
৫. গান্ধীবাদী রাজনীতি এবং তার বিকল্প : ১৯২০-৩৫
৬. বিভেদের রাজনীতি : ১৯৩৬-৪৬
৭. বিপদসংকেত : চল্লিশের দশকের সংকট
৮. আগ্নেয়গিরির মুখে : ১৯৪৬-৪৭
৯. হৃদয়ের বিভাজন : অবিভক্ত বাংলার শেষ দিনগুলি
গ্রন্থ নির্দেশ
বিষয়-সূচী
লেখক পরিচিতি